ঠাকুরগাঁওয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা:-
ঠাকুরগাঁওয়ে মোজাম্মেল হক (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের বাদামবাড়ি হাটে উভয় পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরতর অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও আধুনিক সদর হাসপাতালে দুজনকে ভর্তি করা হয়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদও হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার রকিবুল আলম মৃত্যুও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত দুজন নিহত মোজাম্মেলের দুইভাই। নিহত মোজ্জাম্মেলের বাসা ওই ইউনিয়নের কইকরি গ্রামে।
আহত ব্যক্তি আশরাফুল ও বাবুলের অভিযোগ প্রতিবেশি এক মেয়ের সাথে কয়েক বছর আগে বিবাহ হয় প্রতিবেশি লতিফের সাথে। ঝগড়া বিবাদের কারনে ওই মে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে আসে। আর এই বিয়ের ঘটক ছিল মোজ্জামেল। ওই নারী দীর্ঘ দিনেও কেন স্বামীর বাড়িতে যায় না এ নিয়ে প্রতিবেশি কামাল হোসেনের সাথে বাকবিতন্ডা হয় কয়েকদিন ধরে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে মিংসায় বসলে। কামাল হোসেন ও মোজ্জাম্মেলের সাথে হাতাহাতি হয়। এছাড়া জমি বিরোধও ছিল কামাল ও মোজ্জাম্মেলের সাথে। পরে এধরনের বিরোধকে কেন্দ্র করে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বাদামবাড়ি হাটে মোজ্জাম্মেলকে একা পেয়ে প্রকাশে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে। পরে বাড়ির সামনে মোজাম্মেল ও বাবুলকেও মারপিট করে তারা।
আহত অবস্থায় বালিয়াডাঙ্গী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাদের ভর্তি করা হলে গুরুতর অবস্থায় মোজ্জাম্মেল ও বাবুলকে জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মোজাম্মেল।
এ বিষয়ে বড়পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন কামাল হোসেন ও মোজাম্মেলের মধ্যে আগে থেকে কয়েকটি বিষয়ে নিয়ে দন্দ চলছিল। এ ঘটনায় আজকে একজনের প্রাণ গেল।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।